Sandeshkhali orders release of BJP leader. Also, Section 195A against him is dismissed.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
কার পরামর্শে পুলিশ এই কর্ম করেছে মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
সন্দেশখালীর বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পির বিরুদ্ধে পুলিশ জামিনযোগ্য ধারা দিয়েছিল। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে গিয়ে গেলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারা বেআইনিভাবে যুক্ত করে গ্রেফতার করে এবং বসিরহাট সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করি কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী।
বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাসের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া ১৯৫ এ ধারা খারিজের পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশ দেন যেভাবে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ সেভাবেই তদন্ত চালিয়ে যাবে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ সুপারের নজরদারিতে।
সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাস কে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত রাজ্যের। মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। সম্পূর্ণ জামিন যোগ্য মামলায় কিভাবে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন তা নিয়ে বিস্মিত বিচারপতি।পুলিশ এমনকি নিম্ন আদালতের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। আপাতত রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের ব্যাখ্যা তলব করলেন বিচারপতি।
পিয়ালির বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৪১, ৩২৮, ৩২৫ সহ সমস্ত জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। প্রথমে তাকে সাক্ষী হিসেবে থানায় ডাকা হয়। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটএর কাছে 195A ধারায় পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পুলিশ। পিয়ালি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তোর সমর্পণ এর আবেদন জানানো সত্বেও তাকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত।
পিয়ালির আইনজিবী রাজদীপ মজুমদার :: সম্পূর্ণ জামিনযোগ্য মামলা। আগাম জামিনের আবেদন নাকচ কর হয়। উল্টে 12 দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হযেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও অমান্য করা হযেছে। জেলা পুলিশ সুপার, ওসি, তদন্তকারী অফিসার এমনকি নিম্ন আদালত সকলকেই হাইকোর্টে ডাকা উচিত।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত :: গোটা বিষয়টি জমিনযোগ্য মামলা। অথচ অভিযুক্ত এখন জেলে। এটা কিভাবে সম্ভব। পুলিশ ছেড়ে দিন, ম্যজিস্ট্রট এর ভুমিকা নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত। জামিনের আবেদন সত্বেও তা গ্রাজ্য হয়নি! অবিলম্বে পিয়ালি দাসকে মুক্তি দেওয়া উচিত রাজ্যের। AG র বক্তব্য জানতে চাই।
১৯৫এ জুডিশিয়াল অর্ডার বলে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।বিচারপতির এজির উদ্দেশ্যে বলেন সেই নির্দেশ আমি খারিজ করে দিচ্ছি। নির্দেশ দেওয়ার পর কিভাবে নতুন করে ধারা যোগ করে মামলাকরিকে জেল হেফাজতে পাঠানো হলো।একজন মহিলাকে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে মন্তব্য বিচারপতির। রাজ্য সরকারকে বলবো অবিলম্বে এই ধারা প্রত্যাহার করুক। নয় আমি ১৯৫এ খারিজ করে দেবো।
আগামী ১৯শে জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।