MP Anwarul victim of honey trap by Bangladeshi Maoists
কলকাতার সংলগ্ন নিউটাউনে খুন করা হয়েছে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলকে। খুনের পর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছিল। সেই দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে পাচার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ জানান, প্রতিবেশি ভারতের শহরে সাংসদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন শিলাস্তি রহমান। তার জেরা চলছে।
তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শিলাস্তি রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিবিসিপি সংযোগ।বাংলাদশের খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় দলটির পরিচয় চরমপন্থী গোষ্ঠী। এমনই সংগঠনের সঙ্গে গোপন সংযোগ রেখে চলে শিলাস্তি রহমান।লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানকে হানি ট্রাপ বলেই চিহ্নিত করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা অফিসাররা। তদন্তে জানা যাচ্ছে, শিলাস্তি রহমানের অন্য নাম সিনথিয়া রহমান।
ঢাকা পুলিশ সূত্রে খবর, আওয়ামী লীগ সাংসদ আনোয়ারুলকে কলকাতায় খুন করার পরিকল্পনাটি করে আনোয়ারুলের ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন।সাংসদকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউটাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবনী গার্ডেনে’র যে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ছিলেন ওই নারী। তাঁর কথা বলে অর্থাৎ ‘হানিট্র্যাপে’র টোপ দিয়ে বরানগর থেকে নিউটাউনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর ঘটে হত্যাকাণ্ড।মিশন শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ সাংসদ আনোয়ারুলকে খুনের পর মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহর সঙ্গে শিলাস্তি বাংলাদেশে ফিরে যান গত ১৫ মে। তাঁকে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) নিজেদের জালে নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই শিলাস্তি রহমান আনোয়ারুল খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহিনের বান্ধবী। তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
কলকাতা পুলিশ নিউটাউনের ওই আবাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে তিনজন একসঙ্গে ঢোকেন। তাঁদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন সেখানে থাকার পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি। ১৩ মে শিলাস্তি আমানুল্লাহ ও সাংসদের সঙ্গেই ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।এর পর শিলাস্তি ১৫ মে বিমানে করে দেশে ফেরেন। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ।
সাংসদ আনোয়ারুল খুনে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তদন্তে উঠে আসছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আক্তারুজ্জামান শাহীন।