Massive breach in Koshi River. More than 100 meters of river bank area has submerged in last 24 hours.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: মানিকচকের উত্তর চন্ডিপুর
বাঁধ থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরেই নদী তাই দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে ভূতনির নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মালদহ মহকুমা শাসক সহ ব্লক ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।
মানিকচকের উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশরপুর এলাকা। বিগত দিনে ভয়াবহ ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে গ্রামের বহু বাড়ী সহ বিস্তীর্ণ অংশ। তবে সেই ভাঙ্গন ছিল গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই গঙ্গা নদী নয় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে কোষী নদী।এদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ছে নদী পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ। যা দেখে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন গঙ্গা নদীর শান্ত রয়েছে তবে ফুলহর নদীর জল কোষী নদীতে প্রবেশ করাই এই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ি এলাকার জল মহানন্দা হয়ে ফুলোহরে মিশেছে যার ফলে ব্যাপক জলস্রোত দেখা দিয়েছে। এই জলের স্রোত এতটাই তীব্র রয়েছে যে নদীর পারে থাকা জমি মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সীতারাম মাহাতো বলেন, যেভাবে জলের তীব্রতা রয়েছে তাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় বাঁধের গা ঘেঁষে বইবে কোষী নদী। শ্বেত দপ্তরের পক্ষ থেকে বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি থাকলে ভূতনিতে বন্যা অনিবার্য।
এদিন কেশরপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন মালদহের মহকুমা জেলাশাসক পঙ্কজ তামাং। কথা বলেন স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে এবং সেচ ও ব্লক দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে। তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকেই এই ভাঙ্গন চলছে। কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। অতি শীঘ্রই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হবে কাজ।