June 29, 2024 3:49 pm

১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

June 29, 2024 3:49 pm

১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Mamta Banerjee: পুরসভার কাজ নিয়ে নেতা থেকে মন্ত্রীকে তীব্র ভৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Chief Minister Mamata Banerjee reprimanded the minister from the leader for the municipal work.

রাজ্য

দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:

এত দিন রাজ্যের পুরসভাগুলি কাজ নিয়ে বিরোধীদের মুখে যা শোনা যেত তা আজ স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শুনতে পাওয়া গেল সেই বিরোধীদের সুর।

পুরমন্ত্রী ও কাউন্সিলরদের সামনে বসিয়ে একের পর এক তোপ দাগলেন মমতা। একেবারে রণংদোহী মেজাজে দেখা গেল মমতাকে। জমি দখল, বেআইনি নির্মাণ, টেন্ডারের নামে টাকা খাওয়া, পার্কিং-এর নামে তোলাবাজির মতো অভিযোগ শোনা গেল তাঁর মুখে।

মমতা কী কী বললেন একনজরে

‘পুরসভা রাখার দরকার কী’-বৈঠকের শুরুতেই মমতা বলেন, “আমার কথা কিছুটা তিক্ত হলেও মনে রাখবেন পুরসভা কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেয়। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কোথাও যখন দখলদারি চলছে, তখনও কোনও অ্য়াকশন নেওয়া হচ্ছে না। কেউ টাকা খাওয়াচ্ছে, কেউ টাকা খাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে রাজ্যের আইডেন্টিটিটা এটাতে নষ্ট হচ্ছে। মানুষ যদি উন্নয়নের কাজ না পায় তাহলে সেই পুরসভা বা পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী!”

‘বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনাদের টাকা নেওয়ার জন্য’– বেআইনি নির্মাণের জেরে হাওড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা হয় না। এমনটাই বললেন মমতা। তিনি বলেন, “হাওড়ায় প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল, হাওড়াটাকে ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার জায়গা নেই। নো অ্যাকশন। কারণ প্ল্যান পাশ করার জন্য মানুষকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনলাইনে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি।

আমি চাইনা কাউকে হেনস্থা হতে হোক। কিন্তু একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনাদের টাকা নেওয়ার জন্য, কেন বুঝতে পারছেন না? জমি পাচ্ছেন বেচে দিচ্ছেন। খুব খারাপ পারফরম্যান্স, কেন তৈরি করা হয়েছিল আমি জানি না।”

‘কে খাচ্ছেন না জানি না, নিশ্চয় দিয়েই খাচ্ছেন’- টেন্ডার নিয়েও চলছে দুর্নীতি! খোদ মমতার মুখেই এমন অভিযোগ। বললেন, “বালির এসডিও অমৃতা কী করছেন, কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নিজেরা টেন্ডার দিচ্ছেন, কার থেকে কতটা খাচ্ছেন জানি না। কে খাচ্ছেন, কে খাচ্ছেন না জানি না। নিশ্চয় দিয়েই খাচ্ছেন। আমি এই কথাগুলো বলার জন্য মোটেই খুশি নেই, আমি দুঃখিত।”

‘একটা ঢাকনা করলেও খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন’ – পুরসভাগুলির পরিষেবা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ মমতার। তিনি উল্লেখ করেন, কোথাও কোথায়ও আলো জ্বলতেই থাকে, কোথাও জল বন্ধ করা হয় না। রাস্তা সারানো হয় না। তিনি বলেন, ‘একটা ঢাকনা করলেও কেউ খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন।’

‘আমার বাড়ি থেকে শুরু করুন’– বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব মমতা। বলেন, “হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের অবস্থা খারাপ। ওয়েবেলের কাছে দেখলাম কত দোকান বসেছে, সবাই আউটসাইডার। নোংরা করে রেখে দিয়েছে। কেন নতুন একটা জোন করা হচ্ছে না? বেআইনিভাবে চারতলা-পাঁচ তলা তোলা হচ্ছে, কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

দুএকজনকে গ্রেফতার করুন, দু-একটা নির্মাণ ভাঙুন। আমার বাড়ি থেকে শুরু করুন। কেন বেআইনি কোনও জিনিস আমরা মানব।”
‘আইসি হলে ইনকাম করে নেবেন, এসব আর করবেন না’– প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া বার্তা মমতার। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘কারও কারও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, আইসি হলে যতটা পারি ইনকাম করে নিই, এসডিও হলে একটা সঞ্চয় করে নিই, ডিএ হলে সঞ্চয় করে নেব- এগুলো অনেক হয়েছে, আর করবেন না প্লিজ, এবার বড্ড চোখে লাগছে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top