Indifference of Madhyamika Board deprived of seventh place! Justice Biswajit Basu directed to make a proper assessment.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত জ্ঞানদ্বীপ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌম্য সুন্দর রায়। ২০২৩সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্য নম্বর ৭০০র মধ্যে সে ৬৮২পেয়েছিল। তার বাবা দেবাশীষ রায়ের অভিযোগ তাকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে জীবন বিজ্ঞানে।
পরবর্তী সময়ে সৌম্য সুন্দর জীবন বিজ্ঞান খাতার পুনর্মূল্যায়নের জন্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানায়। কিন্তু মধ্য শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। এর পর সে উত্তর পত্রের প্রতিলিপি চেয়ে আবেদন জানায়। সেই উত্তর পত্র হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় তার ৪টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সত্বেও ১নম্বর করে কম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যে কারণে জীবন বিজ্ঞানে ১০০র মধ্যে সে ৯৬পেয়েছে। কিন্তু সঠিক মূল্যায়ন হলে তার প্রাপ্ত নম্বর হতো ১০০। তার আর অভিযোগ যে ছাত্র মাধ্যমিকে দশম স্থান পেয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। সৌম্যর ৪নম্বর যোগ হলে তার প্রাপ্ত নম্বর দাড়াতো ৬৮৬। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতার কারণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌম্য।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলার শুনানিতে তার আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, যে ছাত্র ৭০০র মধ্যে ৬৮২পায়, অংক, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০য় ১০০পায় তাহলে জীবন বিজ্ঞানে সঠিক মূল্যায়ণ হলে তাতেও সে ১০০ই পেত। হয়তো সে প্রথম থেকে দশম স্থান পেতে পারতো। সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ার জন্য ওই মেধাবী ছাত্র মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে। যে কারণে তার পঠনপাঠনে প্রভাব ফেলেছে। মামলাকারির আইনজীবীর আরও দাবি পর্ষদ যদি সঠিক মূল্যায়ন করতো তাহলে সৌম্য সপ্তম স্থান অধিকারি হতে পারতো।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কহেলি ভট্টাচার্যের কাছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান “এত ভালো মেধাবী ছাত্র যে সমস্ত বিষয় ১০০এবং তার কাছাকাছি নম্বর পেয়েছে। সাইন্সের যেখানে সঠিক উত্তরের সঠিক নম্বরই দেওয়া উচিত। যেখানে উত্তর সঠিক হওয়া সত্বেও কেন কম নম্বর দেওয়া হলো?
বিচারপতি নির্দেশ দেন অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা সৌম্য সুন্দরের আবেদন খতিয়ে দেখে সহানুভূতির সাথে মূল্যায়ন করে তার প্রাপ্ত নম্বর যাতে সে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে ৬সপ্তাহের মধ্যে ।