Bathing of Jagannath Dev in grand ceremony according to Tithi Nakshatra
পুরি
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:শনিবার প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা ৷ প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাইত্রা হয় বলে একে ‘স্নান পূর্ণিমা’ বা ‘দেবস্নান পূর্ণিমা’ বলা হয় ৷ ওড়িশার জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮কলসিতে সুগন্ধি জল দিয়ে চতুর্ধামূর্তিকে স্নান করানোর পালা চলছে । প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য ৷ অনুষ্ঠানের পর গজাননের পোশাকে সজ্জিত হবেন প্রভু জগন্নাথ । সাধারণত বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন। এই দিনটি জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয় । শ্রীজগন্নাথের লীলাক্ষেত্র পুরুষোত্তম এলাকায় প্রভুর স্নান অনুষ্ঠান হল একটি ধ্রুপদী বিত্তধুম লীলা। যেহেতু এই স্নান প্রথম ভগবানের আবির্ভাবের সময় করা হয়েছিল, তাই একে শ্রীদারু ব্রহ্মার আদ্যালীলা বলা হয় । মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এবং রানী গুন্ডিচা মহাপ্রভু দারু ব্রহ্মার অবতারের পর প্রথম শুভ মুহূর্তে এই স্নান করেছিলেন । কথিত আছে স্বয়ং জগন্নাথ মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহাস্নানের পর তাঁর অঙ্গরাগবিহীন রূপ যেন কেউ না-দেখেন ৷ তাই স্নানযাত্রার পর থেকে ১৫ দিন সাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয় পুরীর মন্দিরের দরজা
শাস্ত্র বলছে যে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে জগন্নাথ দেবের আবির্ভূত ঘটেছিল। সেই কারণে এই তিথিকে জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মনুই। জগন্নাথ দেবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই বিশেষ তিথিতে তাই স্নান উৎসব পালিত হয়ে থাকে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথযাত্রার ১৫ দিন আগে স্নানযাত্রা পালন করা হয়।