Ma stormed off the ball against Punjab, won in Lucknow
ক্রিকেট
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক:
জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে এলো পাঞ্জাব কিংস। ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে শুরুটা অনবদ্য করলেও মিডল অর্ডারের খারাপ পারফরমেন্সের দরুন ম্যাচ হারতে হল পাঞ্জাবকে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৯ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ৫৪ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এরপর ঝড়ো ৪২ রান করেন নিকোলাস পুরান। সঙ্গ দেন ক্রুণাল পণ্ডিয়া। তিনিও করেন ৪৩ রান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ১০০ রানের কাছে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। ৭০ রান করেন শিখর ধাওয়ান। অপর ওপেনার জনি বেয়ারস্টো করেন ৪২ রান। কিন্তু মিডল অর্ডারে স্যাম কারান, জিতেশ শর্মারা ফ্লপ হন। তাই লিয়াম লিভিংস্টনের ১৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস কাজে আসেনি। শেষ মেষ ২১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ। যদিও লোকেশ রাহুলের দলের জেতার মূল কারিগর পেসার মায়াঙ্ক যাদব। বল হাতে তিনিই ম্যাচ জেতালেন লখনউকে। অভিষেক ম্যাচে শুধু ৩ উইকেট নিলেন না। যখন সব বোলাররা ফেল করলেন, তখন তিনি এসে সাফল্য দিলেন লখনউ শিবিরকে। ৪ ওভারে দিলেন মাত্র ২৭ রান। যুব এই তারকা সাজঘরে ফেরান জনি বেয়ারস্টোকে। ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর তার দ্রুত গতির বোলিংয়ের শিকার প্রভশিমরণ সিং এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার জীতেশ শর্মা। আইপিএলে ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম বোলারদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন মাত্র ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৫০কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিবেগে বল করলেন দিল্লির ছেলে মায়াঙ্ক। অভিষেক ম্যাচে তার থেকে এমন বোলিং হয়ত আশাই করতে পারেননি পাঞ্জাব ক্রিকেটাররা। তাই তীরে এসে তরী ডুবল শিখর ধাওয়ানের ছেলেদের। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ৩ উইকেট নিয়ে খেলার মোর ঘুরিয়ে দেওয়া দিল্লির পেসার ময়াঙ্ক যাদব।
মায়াংকের খেলা দেখে উচ্ছসিত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার ব্রেট লি। এক সময় গতির জন্য বিখ্যাত ছিলেন অজিদের এই তারকা পেসার। সেই ব্রেট লিই ভুয়সী প্রশংসায় করালেন যাদবকে। ম্যাচে শেষের পরই লি টুইট করে লেখেন, ভারত তার দ্রুততম পেসারকে খুঁজে পেয়েছে। মায়াংক যাদব। অসম্ভব গতি। নজরকারা পাররম্যান্স। অবশ্য তার এই উক্তির পিছনে কারণও যে রয়েছে। পাঞ্জাবের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৬ কিমি প্রতি ঘণ্টার নিরিখে বল করেছিলেন। নিজের চার ওভারে মধ্যে একটি বলও ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টায় কমে করেননি দিল্লির এই তরুণ পেসার। ২৪ টি বোলার মধ্যে যাদবের ৮ টি ডেলিভারি ছিল ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার ওপরে। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ঠিক কতটা আগ্রাসন নিজের বোলিংয়ের দ্বারা দেখিয়েছেন তিনি অভিষেক ম্যাচে লখনউ এর হয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে একানা স্টেডিয়ামে।