July 3, 2024 7:11 pm

১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

July 3, 2024 7:11 pm

১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

HC on The secretary of the animal resource development:হাইকোর্টের চাপে ছুটে আসতে হলো রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সচিবকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

The secretary of the animal resource development department of the state had to rush under the pressure of the high court.

রাজ্য

দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:

নামের একটা অক্ষর যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে ব্যক্তির পরিচয় সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যায়। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো‘রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের সচিবের ক্ষেত্রে।ব’ এবং ‘ভ’- পাশাপাশি থাকা দুই ব্যাঞ্জনবর্ণ নিয়ে যত চর্চা, আপত্তি, আলোচনা! তাও আবার বন্ধু বা পরিচিত মহলে এই ব আর ভ-র মধ্য তফাৎ নিয়ে চর্চা নয়, আলোচনা চলল কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে। রাজ্যের এক সচিবের হাইকোর্টের নোটিশের পালটা দেওয়া জবাবে হতভম্ব বহু তাবড় তাবড় আইনজীবীরাও। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট সচিবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে আদালতও।রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দেবিভাগের সচিব বিবেক কুমারকে সম্প্রতি নোটিশ পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

কিন্তু, তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন তিনি। কারণ নোটিশে ‘ভিভেক’-এর পরিবর্তে ‘বিবেক’ লেখা হয়। আর এই ব এবং ভ-এর তফাৎ খুঁজে নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন তিনি। রাজ্যের যুক্তি, বিবেক শব্দটি উচ্চারিত হয় ঠোঁট থেকে আর ভিভেক শব্দটি আসে হৃদয় থেকে। তাই নামের বানানের এই ত্রুটির জন্য সচিব আদালতের এই নোটিশ নিতে অস্বীকার করে থাকতে পারেন।

আদালত অবমাননার মামলায় এক সচিবের এমন যুক্তি শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলাটি ওঠে। সেখানে এই যুক্তি শুনে রীতিমতো তেতে ওঠেন বিচারপতি। তিনি এদিন বিরক্তির সঙ্গে বলেন, ‘তাঁর বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। তারপরে দেখব কোন শব্দ হৃদয় থেকে বার হয়, আর কোনটা ঠোঁট থেকে।’

আদালতের একের পর এক নির্দেশ কার্যকর না করায় তলব করা হয়েছিল ওই সচিবকে। কিন্তু, তাঁর আচরণকে ঔদ্ধত্য হিসেবেই দেখছে হাইকোর্ট। ওই সচিবের বিরুদ্ধে রায় লিখে বিধাননগর সিটি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী সোমবার তাঁকে বেলা সাড়ে দশটায় এজলাসে হাজির করতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী বারংবার আবেদন করেছিলেন যাতে এই নির্দেশ না দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আবেদন করেন তিনি।

তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, একটি মাত্র শর্তে এই নির্দেশ ভেবে দেখা হবে যদি ওই সচিব বেলা দুটোর সময় এসে হাজির হন এজলাসে।

আইনজীবী মহলের একাংশের কথায়, ‘প্রত্যেক মামলার প্রেক্ষাপট, বিচার্য বিষয় আলাদা হয়। তাই আইনজীবীদের বিভিন্ন সময় একাধিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু, এই ধরনের ঘটনা হয়তো অনেক তাবড় তাবড় আইনজীবীও তাঁদের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বার করতে পারবে না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top