The court ordered a second autopsy in the lawyer’s unusual death case.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
তরুণ আইনজীবীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার রিপোর্টে খুশি নয় আদালত।বর্ধমানের মৃত আইনজীবীর মুখ বিকৃত করেছে কোন বন্য পশু পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ্ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাই অবসরপ্রাপ্ত মেডিকেল এক্সপার্ট কে দিয়ে ফের ময়না তদন্ত করার নির্দেশ বিচারপতির । সেই রিপোর্ট আসার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী ২৯শে এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
বর্ধমানে স্বস্তিক সমাদ্দার নামে এক তরুণ আইনজীবীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে পুলিশের দেওয়া তথ্য ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য আদালতের।
তরুণ আইনজীবীর মৃতদেহ কোনো হিংস্র পশুর আক্রমণের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত করেছে। পুলিশের তত্ত্ব মানতে নারাজ হাইকোর্ট। যে ভাবে তার মুখ বিকৃত হয়েছে অথচ দেহে কোনো আঁচড় নেই, তাতে পুলিশের এই বন্য জন্তুর আঁচড়ের তত্ত্ব নিয়ে সন্দিহান আদালত। একইসঙ্গে গায়েব তার মোবাইল, মানি ব্যাগ থেকে স্মার্ট ওয়াচ। রাজ্য দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্টের দ্বিতীয় এক্সপার্ট অপিনিয়ন নিয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্টেও বন্য জন্তুর আক্রমণের পক্ষেই মত দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাই অবসর প্রাপ্ত মেডিকোলিকাল বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।রিপোর্ট দেখে নতুন করে মতামত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল পরিবর্তী শুনানিতে সেই রিপোর্ট দেখার পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ নেবে।
এদিন মৃতের পরিবারের আইনজীবী অপলক বসু আদালতে জানায় অবসরপ্রাপ্ত ময়নাতদন্তের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ কে গুপ্তকে ওই দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন করে। কারণ গত বছর আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র ফায়জল আহমেদের রহস্য মৃত্যুতে রাজ্যের আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ করে ওই চিকিৎসকই তাকে খুনের যুক্তি সামনে আনেন। এখন সেই খুনের অভিযোগের তদন্ত চলছে। যদিও রাজ্যের আইনজীবী তাকে এই ক্ষেত্রে নিয়োগের বিরোধিতা করে তিনি নিরপেক্ষ নন বলে অভিযোগ করেন। তাতে আদালত রাজ্যকে ই দায়িত্ব দেয় যে কোনো অবসর প্রাপ্ত চিকিৎসককে দিয়ে তদন্ত করাতে।