July 1, 2024 7:10 pm

১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

July 1, 2024 7:10 pm

১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Euro cup 2024 :এমবাপের অনুপস্থিতিই ফ্যাক্টর! একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ডাচদের কাছে আটকে গেল ফ্রান্স

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Absence of MBAP factor! France stuck to the Dutch after wasting multiple opportunities

Euro 2024

দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক:

গতি, স্কিল, পাস, ড্রিবল, গোলের সুযোগ সবই ছিল। তবু যেন ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রাণহীন লড়াই দেখল ইউরো । শেষের আধ ঘণ্টা বাদ দিলে ম্যাচের বাকি সময়ের বেশিরভাগটাই দুই প্রতিপক্ষ শিবির যেন একে অপরকে মেপে নিতেই ব্যস্ত রইল। যার অবশ্যম্ভাবী ফলাফল, গোলশূন্য ড্র। লিপজিগে এদিন ডাচ এবং ফরাসি দুই শিবিরই গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোল পেল না কেউই। ডাচরা একবার ফরাসি জালে বল জড়ালেও সেই গোল বাতিল করে দিলেন রেফারি।

শেষ আট সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডসের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে মাত্র একবার। চলতি ইউরোর বাছাই পর্বেই দুবার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস। দুবারই ডাচদের হারিয়েছে ফরাসিরা। স্বাভাবিক ভাবেই গ্রুপ পর্বের হাই ভোল্টেজ লড়াইয়ে সামান্য হলেও এগিয়ে ছিলেন গ্রিজম্যানরা। কিন্তু খাতায় কলমে পিছিয়ে থাকলেও ডাচরা এদিন ফ্রান্সকে এক চিলতে জমিও ছাড়ল না। ফ্রান্সের আক্রমণভাগের ব্রহ্মাস্ত্র এমবাপে এদিন চোটের জন্য খেলেননি। সেটাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল।

যে কোনও বড় ম্যাচেই দুই কোচ প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিনও সেটাই করলেন দিদিয়ের দেশঁ এবং রোনাল্ড কোম্যান। ফ্রান্সকে খানিক বেশি আক্রমণাত্মক মনে হলেও প্রতিআক্রমণে বিপজ্জনক দেখাল নেদারল্যান্ডসকে। দুই শিবিরই অন্তত গোটা দুয়েক করে সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তৈরি করেছিল প্রথমার্ধে। বিশেষ করে ম্যাচের ১৩ মিনিটে যেভাবে কার্যত ফাঁকা গোলের সামনে এসেও মিস করলেন ফ্রান্সের গ্রিজম্যান এবং র‍্যাবিয়ট, সেটা খানিক হাস্যকরই বটে। আবার ম্যাচের বয়স আধ ঘন্টা হওয়ার আগেই ডেম্বেলে একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনিও গোলের সামনে গিয়ে বল উড়িয়ে দিলেন। এর মধ্যে আবার প্রতি আক্রমণে গিয়ে ফ্রান্সের গোলরক্ষককে দুটি অনবদ্য সেভ করতে বাধ্য করেন গাকপো-ফ্রিমপংরা। কিন্তু কোনও পক্ষই প্রথমার্ধে গোল পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা খানিক বেশি গতিশীল হল। কিন্তু তাতেও খেলার ধরন বিশেষ বদলাল না। ফ্রান্স চেষ্টা করল গোল তৈরি করার, আর নেদারল্যান্ডস চেষ্টা করল প্রতিআক্রমণে ফরাসিদের আঘাত করার। কিন্তু প্রথম মিনিট দশেক কোনও পক্ষই ফাইনাল থার্ডে গিয়ে প্রতিপক্ষকে সেভাবে বিপদে ফেলতে পারল না। তার পর অবশ্য ফ্রান্সেরই আধিপত্য দেখা গিয়েছে। ম্যাচের বয়স তখন ঘন্টাখানেক, ফ্রান্সের থুরাম একটা ভালো শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু সেটা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধের সেরা সুযোগটি সম্ভবত এসেছিল ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। অনবদ্য পাসিং ফুটবলে ডাচ রক্ষণ ভেদ করে ফেলেছিলেন ডেম্বেলেরা। কিন্তু এবারও কার্যত ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারলেন না গ্রিজম্যান । আসলে এমবাপের না থাকাটা ফ্রান্সের আক্রমণভাগকে এদিন অনেকটাই নিস্তেজ করে দিয়েছিল। আর সেটা ভালোই বোঝা গেল ফরাসি আক্রমণভাগের ব্যর্থতায়। উলটে ম্যাচের ৭২ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের জাভি সিমনস। কিন্তু পরে রেফারি সেই গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করেন। যদিও রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। এর পর শেষদিকে ফ্রান্স আক্রমনের ধার বাড়ালেও গোলমুখ খুলতে পারেনি। এদিনের ম্যাচ ড্র হওয়ায় নকআউটে নিশ্চিত হতে দু’দলকেই অপেক্ষা করতে হবে নিজেদের শেষ ম্যাচের জন্য।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top