Justice Devanshu Basak’s division bench order is right and timely, says writer Subal Sardar
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতে গরম গরম চা চাই । গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা পানি চাই। সময়ের পট পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের চাওয়া পাওয়া পরিবর্তন হয়। আগে তৃণমূল বলতো খেলা হবে। এখন বিজেপি বলছে খেলা দেখাবো। সময়ের পরিবর্তনে কেউ খেলা করে ,কেউ খেলা দেখে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী মহারণ। যুদ্ধের পটভূমি ভারত । নির্বাচন নামক মহাভারতের যুদ্ধ টানা এক মাস ধরে চলবে। হার জিৎ আছে। সরকার যাবে সরকার আসবে। এই নির্বাচন আঞ্চলিক দলগুলি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে। বিজেপি বিরোধী প্রধান দল কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর হাত ধরে অপরিণত থেকে গেছে । তাদের গ্ৰহণ যোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে। সিপিএমের দেশ বিরোধী কার্যকলাপে মদত দিয়ে এখন তারা কার্যত জনগণের নাগালের বাহিরে, তৃণমূল হাজার হাজার কেলেঙ্কারীর খল নায়িকা। কাজে নড়বড়ে , নাটুকে সংলাপ , শুধু শ্রী শ্রী থেকে কুশ্রী-মিথ্যাশ্রীতে ভরপুর। প্রতিটা জনগণ সুন্দর, শান্তির জীবনের ছবি আঁকে। সরকার পরিবর্তন হলে তাদের মুক্তি মিলবে ,কাজ মিলবে, নৈরাজ্য দূর হবে এমনটাই তারা ভাবে। অন্যদিকে নেতারা ক্ষমতা হাতে পেলে টাকা চুরি করবে এমন স্বপ্ন দেখে। আইন ভেঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। নীতি, নৈতিকতার ধার ধারে না। চুরি ই তাদের ধ্যান -জ্ঞান প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। এ গণতন্ত্র জনগণের নয়, নেতাদের গণতন্ত্র । তারা ম্যান মেইড নেতা নয়, তারা ফ্যামিলি মেইড নেতা। তাই তারা নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। কেউই তাদের কেশাঘ্র স্পর্শ করতে পারে না,এমন কি কোর্ট নয় এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে তারা আইন ভাঙতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দীর্ঘ লাল সন্ত্রাস থেকে নীল সাদার সন্ত্রাস আরো বেড়ে যায় আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। টেট দুর্নীতি থেকে কয়লা কেলেঙ্কারী গরু পাচার, কয়লা পাচার,সোনা পাচার, টাকা পাচার প্রভৃতি হাজার দুর্নীতি সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছ।
লোকসভা নির্বাচনের শুরুতে ২০১৬ এর আপার প্রাইমারীর প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে। সমস্ত বেতনের সুদ সহ ১২% টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য সবাই নয়। অযোগ্যদের ফিরত দিতে হবে । তবে এখানে যোগ্য অযোগ্য বাছা খুব কঠিন কাজ । টেট পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি,ও.এম.আর শীট ছাড়া চাকরি-প্যানেলের মেয়াদের শেষে চাকরি সব কেমন হজপজ ব্যপার। এমনকি মাধ্যমিক পাশ, অষ্টম শ্রেণী পাস করে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছে। মেরিট লিস্ট নেই,অ্যাপয়ন্টমেন্ট লেটার নেই। টাকা দিয়ে ফোন ম্যাসেজে চাকরি। কখনো লেনদেন ঘাটতি হলে ফোনে চাকরি বাতিল। এখানে নিয়মের কোন তোয়াক্কা নেই। হাইকোর্ট তাই এমন কঠোর আদেশ দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলী থেকে জাস্টিস দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এমন আদেশ জনমানসে দারুণ উত্তেজনা বাড়ায়। জনগণ স্বাগত জানায়। ঘুসখোর সরকার এবং ঘুষ দেওয়া শিক্ষক ছাড়া সবাই খুশি। সরকার নির্বাচন দোহাই দিয়ে বাতিল শিক্ষকদের দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিতে চায়। সরকারের মাথা ব্যথা জনগণের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে না। আইনের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ বিচার পায়। এমন দ্রুত রায় দান সঠিক এবং সময়োচিত। এই রায়ে এক মানবিক দিক ফুটে উঠেছে ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকুরি বহাল রেখে। অন্যান্য দুর্নীতি যেমন মেডিকেল থেকে বিসিএস সব দুর্নীতি তদন্ত হোক। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আসুক এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা পাক।