Do I have to go down the street with a broom?’The chief minister held an administrative meeting with all the departments
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২.৩০ নাগাদ সমস্ত দপ্তরকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। ছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। সকলকে ভালো করে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মেয়রদের উদ্দেশে বলেন, ‘কী করছেন আপনারা? কাউন্সিলররা কেন ফিল্ডে নামছেন না? নাকি শুধু নিজেদের ‘ইনকামের’ কথা ভাবছে? এবার আমি রাস্তায় নামব? ঝাঁট আমায় দিতে হবে? মানুষ কেন আমাদের সমর্থন করে? এসব পরিষেবাগুলো পাওয়ার জন্যই তো করে নাকি!’
নবান্ন সূত্রের খবর, পুরমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মমতা বলেন, ‘ববি এগুলো দেখো এবার।’ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে। অন্য রাজ্যের মতো হয়ে যাচ্ছে। বাইরে থেকে যে কেউ আসছে আর ইচ্ছে মতো পুরসভাগুলো টাকার বিনিময়ে যেখানে সেখানে বসিয়ে দিচ্ছে। কাউন্সিলররা এসব করছেন। কিছু অফিসারও এখান থেকে টাকা তুলছেন। আমি এসব আর বরদাস্ত করব না।’
এ ধরনের জবরদখল নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছেও কৈফিয়ত চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় যে যেখানে ইচ্ছে বসে পড়ছে। দোকান করছে একের পর এক। এগুলো বন্ধ করুন।’
পাশাপাশি মহানগরীতে জমি দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। এ বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কারক দপ্তরের আধিকারিকদের তুলোধোনা করেন। রেয়াত করেননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। মমতা জানান, জমি বিক্রির সময় কেউ কোনও টাকা চাইলে তা দেবেন না। সরকার কোনও দুর্নীতির ভাগিদার হবে না।