BJP’s manifesto is full of Modi guarantee ramblings, the manifesto mentions the fight against corruption
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে নিজেদের ইস্তাহার প্রকাশ করে বিজেপি। ইশতেহার বা সংকল্পপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন নরেন্দ্র মোদিই। সঙ্গে ছিলেন দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণসহ অন্য শীর্ষ নেতারা। তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন হয়ে মোদি সরকার কী কী করবে তারই ফিরিস্তি লেখা এই ইশতেহারে।
সংকল্প পত্রে দেওয়া আছে , মহিলাদের, যুবদের এবং কৃষকদের উন্নতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকার গঠিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই আরও কঠোর হবে এবং যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নারীদের জন্য, যুবকদের জন্য, কৃষকদের জন্য এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশে মানুষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে নতুন সরকার।
কৃষক বিরোধী কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কৃষকদের আন্দোলন ঠেকাতে জল কামান, পলিশ নামিয়েছিল মোদী সরকার। সেই বিজেপি বলছে তারা কৃষকদের উন্নতির জন্য কাজ করবে।
গরিব মানুষের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, দেশে অর্থনীতি তলানিতে নামছে, ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান যখন ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তখন বিজেপি গ্যারান্টি দিচ্ছে যে আগামী সরকার গরিবের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।
এদিন সংকল্প পত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে বিজেপির হাতিয়ার হয়েছে সেই রাম মন্দির। দেশে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করতে তারা পেরেছে কিনা, জিনিসপত্রের দামে নিয়ন্ত্রণ আনতে তারা পেরেছে কিনা, সে বিষয়ে একটা কথাও তারা উল্লেখ করেননি।
মোদি সরকারের আগামী দিনের গ্যারান্টির মধ্যে পড়ছে ‘এক দেশ এক ভোট’নীতিও। মোদি চান, সারা দেশের বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একই সঙ্গে করিয়ে ফেলতে। এতে অনাবশ্যক খরচ কমবে। দেশের উন্নতি ও প্রগতির কাজ ব্যাহত হবে না। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশ-বিদেশে কম বিতর্ক হয়নি। বিজেপি বলেছে, এবার ক্ষমতায় এসে তারা এই আইনে উপযুক্তদের নাগরিকত্ব দেবে।
মোদি বলেন, সারা দেশ তাঁর পরিবার। সেই পরিবারের সদস্যকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে তিনি চারটি শ্রেণিতে বিভাজন করেছেন। গরিব, যুব, কৃষক বা অন্নদাতা ও নারী। শব্দগুলোর ইংরেজি ও হিন্দি আদ্যক্ষর মিলিয়ে তাঁর ভাষায় সেটি হলো ‘জ্ঞান’। তাঁর গ্যারান্টিতে এই চার শ্রেণিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিই মোদির লক্ষ্য।