Police Found In Investigation Bangladesh Missing Mp Had Sent Whatsapp Messages To Family Know Details
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সাতদিন ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত বাংলাদেশি ও ভারতীয় দুটি নম্বর বন্ধ রয়েছে। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।১৩ মে কলকাতার বরাহনগরের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম আনার।
নিখোঁজ এমপির মোবাইল থেকে গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মেসেজ আসে বলে জানায় দীর্ঘদিনের পরিচিত ও বন্ধু বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। মেসেজ লেখা ছিল – তাঁকে ফোন করার দরকার নেই। আর এই মেসেজ ঘিরেও বেড়েছে রহস্য। ফোনে কথা না বলে কেন তিনি সেই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।
জানা যাচ্ছে, যে গত ১২ তারিখ সন্ধ্যায় আনার আসেন গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। পরের দিন তিনি চিকিৎসক দেখানোর জন্য বার হন। কিন্তু সেদিন থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। তাঁকে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন পরিবারের লোকজন। এদিকে, গত ১৮ তারিখে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন গোপাল বিশ্বাস। তাতে তিনি পুরো বিষয়টি উল্লেখ করে লেখেন যে ১৩ তারিখ দুপুর ১টা ৪০মিনিট নাগাদ ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাইরে যান আনার।দুপুরে যাওয়ার সময়ে আনার তাঁকে বলে যান যে তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না এসে তাঁকে হোয়াটস্অ্যাপে মেসেজ পাঠান আনার। তাতে আওয়ামী লীগের ওই সাংসদ লেখেন যে ‘বিশেষ কাজে দিল্লি চলে যাচ্ছি এবং পৌঁছে ফোন করব। তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।’
এর পরে, ১৫ তারিখে আনার আরেকটি মেসেজ পাঠান। আনার যে দিল্লি পৌঁচেছেন তা জানানো হয় ওই মেসেজে। তাতে লেখা হয় ‘আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন, ফোন করার দরকার নেই।’ আনোয়ারুল আজিমের নম্বর থেকে আসা ওই মেসেজ গোপাল বিশ্বাস পাঠিয়ে দেন আনারের বাড়ির লোকজন এবং ব্যক্তিগত সহকারীকে আবদুর রউফকেও।
পুলিশ তদন্ত করে জেনেছে, উত্তরপ্রদেশের মুজফফরপুরে মোবাইলের শেষ টাওয়ার ছিল। মাঝে মাঝে মোবাইল খোলা হচ্ছিল। তবে বেশিরভাগ সময়ের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছিল ফোনটি। পুলিশের ধারণা, খুনের পর খুনিরা মোবাইলটি লুঠ করে নেয়। এর পর প্রমাণ লোপাট করতেই এক আততায়ী তাঁর মোবাইলটি নিয়ে বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশে চলে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় দেহ। ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তিনদিন ধরে দেহাংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। দেহের কিছু অংশ ওই ফ্ল্যাটের ফ্রিজে রাখা রয়েছে বলেই খবর। এমনকি ফ্ল্যাট থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরেই দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে। তবে দেহাংশ কারা ফেলে রেখেছে, কোথায় ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।