exclusive
Doctor Shantanu Sen is a candidate from Barahnagar Assembly Constituency
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছেন ডাক্তার শান্তনু সেন। সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের দিনই হবে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আগামীকাল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ সারাদেশে এবং বাংলায় সাত দফার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাংলার বিয়াল্লিশ টি আসনে নির্বাচন হবে ৪৩ দিনে। প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। এই লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দুটি বিধানসভার উপনির্বাচন হতে চলেছে। একটি বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র যেখানে বিধায়ক তাপস রায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অপর বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ ভগবানগোলায়। সেখানকার বিধায়ক ইদ্রিস আলী তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা লাগোয়া। আর এই বিধানসভা কেন্দ্রে ঠিকঠাক থাকলে প্রার্থী হতে চলেছেন দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা রাজ্যসভার দীর্ঘদিনের সংসদ ডাক্তার শান্তনু সেন। রাজ্য সভায় তাকে মনোনয়ন দেয়নি দল। তবে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে টিকিট দেবে। কারণ তিনি বিশ্বাস করছেন সংসদীয় রাজনীতিতে তার গতিবিধি অবাধ। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি যেভাবে রাজ্যসভায় শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ ছুড়েছিলেন সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্যই তাকে প্রার্থী করবেন।
ডাক্তার শান্তনু সেনের তার ভাবনা এবং চিন্তা সমস্তটাই তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ই মার্চ ব্রিগেড সমাবেশে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল সুপ্রিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে অনেকটাই তিনি আসাহত করেছেন এমনটাই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর। গত শুক্রবার টিকিট না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায় তিনি যেভাবে কাওরা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ঠিক সেই দিনই দীর্ঘ দিনের পোড় খাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী, প্রাক্তন পৌরপিতা এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন অভিমানীর হয়ে পড়েছিলেন।
দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সদস্য থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভা সংসদ ডাক্তার শান্তনু সেনের। কিভাবে প্রশ্ন উত্তর পর্বে রাজ্যের কথা এবং দেশের কথা তুলে ধরা যায়।সামনেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের অনেক বর্ষীয়ান নেতা হয়তো টিকিট পাবেন না তাদের বয়সজনিত সমস্যার কারণে। লোকসভায় শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি পেতে চায় তৃণমূল। সেটাকেই মূলত কাজে লাগাতে এবার লোকসভা ভোটে শান্তনু সেনকে প্রার্থী করতে চলেছে তৃণমূল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু শেষ বেলায় তাকে প্রার্থী কর না করায় অনেকটাই বিব্রত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ছাত্র রাজনীতি থেকে কলেজ রাজনীতি, পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতা একদা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর হিসেবে কাজের অভিজ্ঞ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী চিকিৎসক কাকলি সেন তিনি কলকাতা পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিভিন্ন সময়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল যে দায়িত্ব দিয়েছিল বারবার সেখানে সাফল্য পেয়েছেন শান্তনু বাবু। সংসদীয় রাজনীতিতে সাফল্যের মাপকাঠিতে তিনি একশোয় একশো। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডাক্তার শান্তনু সেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র।স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আগামী সপ্তাতেই বৈঠকে বসতে চলেছে অভিষেক। বিভিন্ন জেলার নেতা-নেত্রীদের সাথেই এই বৈঠক করবেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তালিকা প্রস্তুতি শুরু করবেন এমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন দলের একনিষ্ঠ এবং
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় মমতাবালা ঠাকুর ছাড়া নিঃসন্দেহে বড় চমক বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ । সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে উচ্চ পদে কাজের পাশাপাশি তিনি একজন লেখক। ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ীর উপর তাঁর লেখা বই যথেষ্ট সমাদৃত। এছাড়া উদারপন্থা নিয়েও সাগরিকা ঘোষের লেখা বই রয়েছে।এছাড়া বিশিষ্ট সাংবাদিক-লেখক রাজদীপ সরদেশাইয়ের স্ত্রী সাগরিকা।রাজ্যসভায় মনোনয়ন পাননি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, আবীররঞ্জন বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন।