Trinamool lawyers boycotted Calcutta High Court hearings to protest the introduction of three new criminal laws.
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
হাই কোর্টের কোনও এজলাসেই শুনানির সময় তাঁরা উপস্থিত হননি। অধিকাংশ মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
মাসের শুরুতে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের ওই বয়কটের ফলে হাই কোর্টে শুনানির কাজ ব্যাহত হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক মামলা শুনানি জন্য ডাকা হলেও আইনজীবীদের এক পক্ষ হাজির হননি। একই অবস্থা দেখা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক, বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর এজলাসেও।
বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বসেও উঠে যায়। এ ছাড়া অনেক মামলায় শুনানি না করে বাধ্য হয়ে ফিরে যান হাই কোর্টের অনেক বিচারপতি। শুনানি না হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মামলাকারীরাও ফিরে যান।
নতুন আইনের বিরোধিতা করে তৃণমূলের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক বলেন, “আইনজীবীরা ওই তিন আইন মেনে নিলে বিচারব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। আইনজীবীদের মতামত ওই আইনে প্রতিফলিত হয়নি। এক তরফা ভাবে ওই আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধন করা উচিত।”
যদিও এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমলের তৈরি করা আইন ছিল তৎকালীন সময়ের শাসন ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। এবং শাস্তির ব্যবস্থাটাও ছিল তৎকালীন সময়ের অপরাধের মানদণ্ডের ওপর। অভিযুক্তকে ব্রিটিশ প্রশাসন বিরোধী কার্যকলাপ ও ব্রিটিশ বিদ্রোহী হিসেবে। তাদেরকে দেশের নাগরিক ভাবা হতো না। এবং পূর আইন্টাই হয়েছিল ব্রিটিশ সরকার সুরক্ষা থাকার জন্যই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে নতুন ন্যায় সংহিতা আইনে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম তৈরি হয়েছে এখনকার অপরাধের চরিত্র বদল হওয়ার ভিত্তি করে। তার শাস্তি ও বিচার প্রক্রিয়া ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা মাথায় রেখে। কারণ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও তাঁর বিচার পূরণ আইনে করা সম্ভব হচ্ছিল না।
আশীষ বাবু আর জানিয়েছেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে যাতে মানুষ অপরাধ প্রবণতা কমে। এবং বিচার ব্যবস্থাকে তরান্বিত করা হয়েছে। যাতে মানুষের বার বার অপরাধ করার প্রবণতা না বাড়ে। এবং নতুন আইন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন হাই কোর্টের বিচারপতি থেকে বর্ষীয়ান আইনজীবী ও সমাজ সংস্কারক এবং বিশিষ্ট মানুষের মতামতের ভিত্তিতে। অথয়েব আইনি বাস্তব সম্মত।
আইনকে সমর্থন না করলেও কোর্ট চলতে দেওয়া উচিত বলে দাবি করছেন বামপন্থী আইনজীবীরা। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, “আমরাও এই আইনকে সমর্থন করি না। তবে এই ভাবে কোর্ট বয়কট করার বিরোধিতা করছি। এক দিন কোর্ট বয়কট করে মোদী সরকারের এই আইনগুলিকে রোখা যাবে না। উপযুক্ত জায়গায় প্রতিবাদ জানাতে হবে।
গত সপ্তাহে রাজ্য বার কাউন্সিল ওই তিন আইনের বিরোধিতা হাই কোর্টের শুনানি বয়কটের ডাক দেয়। তার বিরোধিতা করে মামলা করে বিজেপি। আদালত জানিয়েছিল, জোর করে কাউকে বয়কটে অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না।