Due to heavy rains in North Bengal, water has started rising in Fulhar river.
উত্তরবঙ্গ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর বঙ্গের ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে
নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর দক্ষিণ দিকের অসংরক্ষিত এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীর অসংরক্ষিত অঞ্চলে থাকা রশিদপুর থেকে গোবরা হাট পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গতকাল রাত থেকে নদীর জল বাড়তে শুরু করায় স্রোত বেড়ে গিয়েছে। আর এই স্রোতের দাপটে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। আতঙ্কে নদীর দক্ষিণ পাশে থাকা অসংরক্ষিত অঞ্চলের রশিদপুর, ভাকুরিয়া মীরপাড়া তাঁতী পারা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। রশিদপুরের অনেক কাছে চলে এসেছে নদী।
ভাঙ্গনের প্রভাবে নদী তীরবর্তী প্রচুর জমির ক্রমে ফুলন নদীর গর্ভে মিশে যাচ্ছে।আগ্রাসী ফুলহর ক্রমে এগিয়ে আসছে রশিদপুর গ্রামের দিকে। আতঙ্কিত গ্রামবাসী।
এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল নদীর তীরবর্তী পার এর জমি গুলিতে নদী ভাঙনের প্রভাবে ফাটল ধরে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতিবছর ফুলহর নদীর ভাঙ্গনের প্রভাবে রশিদপুর এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রশিদপুর গ্রামের অনেকটা অংশই ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক কৃষকের জমিও নদীর তলায় চলে গিয়েছে বলে তাদের দাবি। প্রশাসন এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রশিদপুর গ্রাম জলের তলায় চলে যাবে।
প্রসঙ্গত ফুলহর নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী অংশে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর ভাকুরিয়া কাউয়াডোল মিরপাড়া, তাতিপাড়া সহ একাধিক গ্রাম রয়েছে। ফুলহর নদীতে জল বাড়লে বা কমলে ভাঙ্গন কিংবা প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকাগুলি। প্রকৃতপক্ষে এগুলি হল নদীর অসংরক্ষিত এলাকা।
এলাকার রশিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আকাশ উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের জেরে আবার জানান নদীর জল বাড়তেই আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গতকাল রাত থেকে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়েছে।আর কিছুটা ভাঙ্গন হলেই আমার বাড়িও ফুলহারের তলায় চলে যাবে। পরিবার নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি। জানিনা সরকার আমাদের নিয়ে কি ভাবছে।
স্থানীয় কৃষক ঋষি লাল যাদব জানান জল বাড়লেও আমাদের ক্ষতি আবার জল কমে ভাঙ্গন হলেও কৃষি জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দিকে নজর দিক সরকার।